Logo
HEL [tta_listen_btn]

আইভী’র মামলা জামিন পেলেন খোকন সাহা


আইভী’র মামলা জামিন পেলেন খোকন সাহা

নিজস্ব সংবাদদাতা
নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সেলিনা হায়াৎ আইভী’র করা মামলায় জামিন মঞ্জুর হয়েছে। হাই কোর্টের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন ও এসএম মুজিবুর রহমানের আদালত মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) শুনানি শেষে ৮ সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করেন। এর আগে ২১ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিলো। জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিচারকের বরাদ দিয়ে এড. হাসান ফেরদৌস জুয়েল জানান, শুনানীতে বিচারক মহোদয় বলেছেন বিষয়টি নিয়ে আইসিটি আইনে মামলাই হয় না। পরে ৮ সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করেন। দেওভোগ এলাকার কয়েকশ’ বছরের প্রাচীন জিউস পুকুর দেবোত্তর সম্পত্তি। এটি লক্ষীনারায়ণ জিউর আখড়া মন্দিরের অংশ। বাংলাদেশের কোন আইনে দেবোত্তর সম্পত্তি ক্রয় বিক্রয়ের কোন নিয়ম না থাকলেও মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী’র পরিবারের সদস্যরা নিজেদের নামে পুকুরটি লিখিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে গত কয়েক বছর যাবত নারায়ণগঞ্জে আন্দোলন চলছে। সেই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন এড. খোকন সাহা। এরপরই গেল বছরের ৪ জানুয়ারি ধর্মীয় অপপ্রচার ও উস্কানির অভিযোগে খোকন সাহার বিরুদ্ধে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। খোকন সাহার অনুসারীদের দাবি, খোকন সাহার মুখ বন্ধ করার জন্য মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী মিথ্যা মামলাটি করেছেন। ৮ সপ্তাহের জামিন পেয়ে নেতাকর্মী ও তাঁর সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা। উচ্চ আদালতের মূল ফটকে দাঁড়িয়ে মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) গণমাধ্যমের কাছে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় তিনি আইভীর উদ্দেশ্যে বলেন, মামলার জবাব আইনিভাবেই দেবো। এর আগে ২১ এপ্রিল মামলাটিতে খোকন সাহার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এর প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জে নানা শ্রেণীর ও পেশার মানুষ খোকন সাহার পক্ষে আন্দোলনে নামেন। নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। গণমাধ্যম কর্মীদের খোকন সাহা তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এদেশে কেউ যদি ওয়াকফার সম্পত্তি দখল করে, মাদ্রাসার সম্পত্তি কিংবা দেবোত্তর সম্পত্তি দখল করে। আমি ৩২ বছর যাবত আইনী পেশায় আছি, সেই মামলা পরিচালনার জন্য আমি ফিস নেইনি। জিউস পুকুরটি তেমনই একটি দেবোত্তর সম্পত্তি। প্রায় ৪শ’ শতাংশ মতো। যা নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী’র পরিবারের মা-মামা ভাই ১৯৭৯ সালে ৬টি দলিলের মাধ্যমে আত্মসাথের চেষ্টা করে। ২০১৯ সালে নাম জারি করার সময় বিষয়টি নজরে আসে। তখন আমরা দেবোত্তর সম্পত্তি রক্ষার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহসিন মিয়ার নেতৃত্বে প্রথম মামলা করি। এড. জুয়েলসহ আমরা অনেকেই এই দেবোত্তর সম্পত্তি রক্ষা করার জন্য কথা বলেছি। আর এই কথা বলার কারণেই আমার বিরুদ্ধে সাইবার অপরাধের অভিযোগ এনে মামলা করেন। তিনি বলেন, আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আমি একজন আইনজীবী, আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মী। জিয়াউর রহমানের আমলে, এরশাদের আমলে ও মেডাম খালেদা জিয়ার আমলে অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। শেখ হাসিনার কর্মীরা সকল সময়ে প্রতিবাদ করতে জানে। আমরা আরও প্রতিবাদ করবো, কারণ শেখ হাসিনার কর্মীরা মামলা হামলার ভয় পায় না। আমরা পরিষ্কার ভাবে বলতে চাই, ১৯৭৫ সালের পরে আমরা শেখ হাসিনার মুখের দিকে তাকিয়ে রাজনীতিতে এসেছি। ওনি (আইভী) মামলা দিয়েছে আমরা মামলার জবাব মামলা দিয়ে আইনগত ভাবে দিবো। ইতোমধ্যে বিজ্ঞ আদালত বলেছেন, এটা আইসিটি মামলা হয় না। তাই আদালত সার্বিক দিক বিবেচনা করে আমাকে জামিন দিয়েছেন। আমি সকলের কাছে কৃতজ্ঞ, যারা গত ৩/৪ দিন যাবত নারায়ণগঞ্জে আন্দোলন সংগ্রাম করছেন। আপনারা যখন আমাকে ডাকবেন আমি আপনাদের পাশে থাকবো। এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল, বাংলাদেশ পূজা উৎযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. চন্দ্রনাথ পোদ্দার, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি রবিউল হোসেন, নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক এড. রবিউল আমীন রনী, নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিপন সরকার শিখন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর পূজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি উত্তম কুমার, জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি বিদ্যুৎ কুমার, পরিবেশ কর্মী সুজিত সরকার প্রমুখ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com